আশিকুর রহমান শান্ত ||
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মো. সুজন মাতাব্বর (২২) নামের এক যুবককে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত সুজন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলম মাতাব্বরের ছেলে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নিহতের পিতা মো শাহ আলম মাতাব্বর বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় মামলা করেছেন।
নিহতের ভগ্নিপতি মো সুমন খাঁন জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি জমিতে স্থানীয় ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলতে যায় সুজন। এ সময় ক্রিকেট খেলার দল ভাগ নিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের রহিম মাঝির ছেলে রাজ্জাকের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাজ্জাক ও তার ভাই রিপন, মাসুদ, শাহাদাত, মামাতো ভাই শমিমসহ মোট ৭-৮ জন মিলে সুজনকে এলোপাথারি মারধর করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় একজন মিমাংশা করে দেয়।
এরই মধ্যে রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হয়ে তার মামাদের খবর দিলে তার মামা গনী বেপারী ও সিরাজ খেলার মাঠে আসে। এ অবস্থায় সুজন খেলা রেখে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য রওনা করে। এ সময় মামাদের দেখে রাজ্জাক উত্তেজিত হয়ে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে সুজনের পিছন দিক দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে ছটপট করতে থাকে। পরে খবর পেয়ে সুজনের বড় ভাই খোকন ঘটনাস্থলে এসে সুজনকে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠায়। সেখানেও সুজনের কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে রাত ১২টার দিকে ঢাকার নিউরোসাইন্স হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সুজনের পিতা শাহ আলম মাতাব্বর বাদী হয়ে দুলারহাট থানায় একটি মামলা দিয়েছেন।
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, বুধবার দুপুরের দিকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে সুজনের মাথায় ব্যাট দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে ঢাকায় নেয়ার পর রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহতের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
You cannot copy content of this page