দৌলতখান প্রতিনিধি ||
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা কাটাকাটি করে এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত মাহিদের রডের আঘাতে রাব্বি (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ার) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাব্বি দৌলতখান পৌরসভার বাসিন্দা জামাল মাঝির ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৌলতখান পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় সিনিয়র-জুনিয়র এর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাহিদ রাব্বিকে রড দ্বারা আঘাত করে। তাৎক্ষনিকভাবে রাব্বিকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখান থেকে তাকে ভোলা সদর হাপাতালে রেফার করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানেও তাকে রাখা হয়নি। রাব্বিকে রেফার করে ঢাকায় রিলিজ পাঠানো হয়। ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ঘাতক মাহিদ পলাতক রয়েছে, তাকে খুঁজছে পুলিশ। মাহিদ দৌলতখান পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের কাচা মালের আড়ৎ ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের ছেলে। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত আশরাফুল নামে অপর এক কিশোর গ্যাংকে খুঁজছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার জানায়, রাব্বির ছোট ভাই রাজীবের সাথে কিশোর গ্যাং মাহিদ ও তার সহযোগীদের দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাব্বি ছোট ভাইকে নিয়ে দৌলতখান পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসে। সেখানে পূর্বে থেকেই কিশোর গ্যাং মাহিদ ও তার সহযোগীরা অবস্থান করছিলো। এসময় মাহিদ ও তার সহযোগীরা রাজীবের ওপর হামলা চালায়। এতে বাধা দিলে হামলাকারীরা রাব্বিকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রাতেই তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে রাব্বির অবস্থার আরো অবনতি হলে শুক্রবার সকালে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্য রঞ্জন খাসকেল বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, দৌলতখান পৌরসভার একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দৌলতখানে কিশোর গ্যাং এর অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলছে। যেমন হোন্ডার উৎপাত, তেমনি প্রতিনিয়ত চলছে মারামারি ও সংঘর্ষ। এদের থেকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েরাও নিরাপদ নয়। অতিদ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান দৌলতখানের একাধিক বাসিন্দা।
You cannot copy content of this page