সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নিখোঁজ শিশু’কে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ দৈনিক আমার দেশ’কে ভোলার রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের অভিনন্দন সা’দপন্থীদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা ভোলায় বাবা-ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ কোস্টগার্ডের হাতে আটক ভোলায় ইটভাটা মালিক সমিতির ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন আজ ১০ই ডিসেম্বর’ ভোলা পাক’হানাদার মুক্ত দিবস আজ ১০ ডিসেম্বর, ভোলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস ভোলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে গনঅধিকার পরিষদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার ভোলার ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন জেলা পুলিশ সুপার

ঘূর্ণিঝড় মিথিলার তাণ্ডবে ভোলার “মেঘনা ব্রিকস” ইট ভাটার কোটি টাকার ক্ষতি

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১১২ বার পঠিত

আশিকুর রহমান শান্ত||

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ভোলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষিখাতে। এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভোলার ইটভাটা গুলো। ঘূর্ণিঝড় মিধিলা’র টান্ডবে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কোড়ার হাট বাজার সংলগ্ন “মেঘনা ব্রিকস” প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইট ভাটাটি মাত্র ইট বানানো শুরু করেছিলো। এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয় ভাটায় থরে থরে সাজানো নতুন কাঁচা ইট। গত এক মাস ধরে ভাটার শ্রমিকরা নতুন ইট তৈরি করে পোড়ানোর জন্য সাজিয়ে রেখেছিলেন। এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সব ইট কাঁদামাটিতে পরিণত হয়। শত চেষ্টা করেও কাঁচা ইট রক্ষা করতে পারেননি ভাটা মালিক। এতে করে ইট ভাটাটিতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা ব্রিকসের ইটভাটায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পুরো ইটভাঁটাটি বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে। ইটভাটা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি শুকিয়ে গেলেও কাঁচা ইট গলে কাঁদা-মাটিতে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির সময় কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে কিছুটা রক্ষা করতে পারলেও জোয়ারের পানিতে সেগুলো প্লাবিত হয়ে ভিজে-গলে কাদা মাটিতে রূপ নিয়েছে। এছাড়াও পোড়ানোর জন্য চুল্লিতে সাজানো ইটও গলে গেছে।

মেঘনা ব্রিকসের মালিক অভি শিকদার বলেন, একটি ইট আগুনে বসানোর আগে প্রায় ৪ টাকা খরচ হয় আমাদের। এ রকম প্রায় ২৫ লাখ ইট নষ্ট হয়েছে। এসব ইট মাঠ থেকে তুলে আবার ইট বানাতে এক মাস সময় লাগবে। এ সময় ইটের কারিগর ও শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হবে। আবার মাঠ পরিষ্কার করতেও ১০-১৫ লাখ টাকা খরচ করতে হবে আমাদের। তিনি বলেন শুক্রবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হলে ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়। এরপরে শনিবারে আসে উচ্চ জোয়ার। একরাতেই সব শেষ। ইটের ওপরে পলিথিন দিয়ে কিছুটা সুবিধা পেলেও জোয়ারের পানিতে নিচ থেকে গলে সব ইট পানির মধ্যে পড়ে যায়। ভালো ইট একটাও পাওয়া যায়নি। আমরা ইট ভাটাটি শুরু করার জন্য আগাম কম দামে ইট বিক্রি করে ভাটার কাজ শুরু করেছিলাম। এখন আবার শুরু করতে গেলে ব্যাংক ঋণ নেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। অন্যথায় ইট ভাটাটি বন্ধ করে দিতে হবে আমাদের।

এই ভাটা মালিক আরও বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি র্আথিক ক্ষতি পোষানোর জন্য অনুদান ও ব্যাংক ঋণ এর সুদ মওকুফ করা হোক আমাদের জন্য। পাশাপাশি সরকারের নির্ধারিত ভ্যাটের হার কিছুটা কমানো হলে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের সহযোগিতা হবে।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

You cannot copy content of this page