সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নিখোঁজ শিশু’কে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ দৈনিক আমার দেশ’কে ভোলার রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের অভিনন্দন সা’দপন্থীদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা ভোলায় বাবা-ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ কোস্টগার্ডের হাতে আটক ভোলায় ইটভাটা মালিক সমিতির ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন আজ ১০ই ডিসেম্বর’ ভোলা পাক’হানাদার মুক্ত দিবস আজ ১০ ডিসেম্বর, ভোলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস ভোলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে গনঅধিকার পরিষদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার ভোলার ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন জেলা পুলিশ সুপার

ভোলায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্দ্ধমূখীতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ, নেই প্রশাসনের নজরদারি 

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৬১ বার পঠিত

মোঃ মনছুর আলম||

ভোলায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্দ্ধমূখীতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। সরকার পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ জেলা প্রশাসন। এতে বিপাকে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকার আলু-পেয়াজের পাইকারি-খুচরা দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামি। আলুর দাম পাইকারি ২৬ থেকে ২৭ টাকা, খুচরা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও পেয়াজ পাইকারি ৫৫ টাকা খুচরা বাজারে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু বাজারে আলু বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পেয়াজ বিক্রি হয় ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। বাজারে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে সবজির দামও। দেশি সিম ১৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, বটবটি ১০০ টাকা, কাচা মরিচ ১৬০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, পাতাকপি ৭০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা।

এদিকে বরিশাল ও ভোলায় কাঁচা বাজারে পণ্যের দাম আকাশ-পাতাল ব্যবধান। বরিশালে পাতাকপি খুচরা বাজারে ২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ২০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, করোলা ৪০ টাকা, বটবটি ৬০ টাকা, সিম ৮০ টাকা করে বিক্রি করে।

বাজারে আসা শিপন, মনির কবির, হাসান, রহমান, মহিউদ্দিন, মুক্তা, নাজমা, সোনিয়া, রাবেয়া জানায় – আমরা মাছ-মাংস কিনার সামর্থ্য অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি। এখন দেখা যায়, শাক-সবজি কিনার সামর্থ্যও হারিয়ে যাবে। তাইলে সাধারণ মানুষ কি খেয়ে বাঁচবে।

দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণ জানতে চাইলে একাধিক ব্যবসায়ীরা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, কাঁচা বাজার সিন্ডিকেটকারী ৩/৪ জন এদের বাহিরে কোনো ব্যবসায়ী চলতে পারে না। এদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখাতে না পারলে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চাইতে বেশি বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। এর ফলে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাই যারা সেন্ডিকেট করে শাক সবজির দাম বেশি নেয় তাদেরকে চিহ্নিত করে ভোক্তা অধিকার আইনে অধিকার আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোস্তফা সোহেল বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশী লাভে দ্রব্যমূল্য  বিক্রয়ের কারণে বাজারে দাম বেশি, তবে মূল্য বেশি রাখার কারণে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং চলছে এবং গত ৩র অক্টোবর পেয়াজের দাম বেশি রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে আলাউদ্দিনকে ৫০০০ হাজার ও আকরামকে ৩০০০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত মনিটরিং চলবে।

ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, সরকার যে খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে এর বাহিরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। সেন্ডিকেট করে যারা সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চাইতে বেশি দামে বিক্রি করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

You cannot copy content of this page