ভোলা জার্নাল ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঢাকার মহাখালীতে বহুতল ভবন খাজা টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবায় যে বিঘ্ন ঘটেছে সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ই অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) সার্ভিস প্রোভাইডার, ডাটা সেন্টার এবং ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জের (আইসিএক্স) অপারেশন সেন্টার রয়েছে। কয়েকটি আইআইজি অপারেটর ওই ভবন থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, যেখান থেকে ব্যান্ডউইথ পায় ব্রডব্যান্ড ও টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যা শুরু হয়।
ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘খাজা টাওয়ারে আগুনের কারণে দুটি ডেটা সেন্টার—১০ তলায় ঢাকাকোলো এবং ১১ তলায় এনআরবি টেলিকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা ও এর আশেপাশের প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাধিক ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা এই রিসোর্স ব্যবহার করে। ‘পরিস্থিতি এখনও চ্যালেঞ্জিং, এখনো অনেকেই ঠিকঠাক ইন্টারনেট পাচ্ছেন না। আইএসপিএবি সমস্যাটি সংশোধন করার জন্য কাজ করছে বলেন তিনি। তবে কবে নাগাদ ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ ঠিক হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা মূল্যায়ন করছি। খাজা টাওয়ার থেকে সরঞ্জামগুলো অন্য এলাকায় সরানোর চেষ্টা করছি। আজ রাত বা আগামীকাল সকাল থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেট ট্র্যাফিকের জন্য আন্তর্জাতিক গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে, দেশ ও বাকি বিশ্বের মধ্যে ডেটা প্রবাহ পরিচালনা করে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারী ও টেলিকম অপারেটরদের বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের সুবিধা দেয়। আইসিএক্স মূলত একটি সুইচিং সিস্টেমকে বোঝায় – যা অপারেটরদের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের মধ্যে আন্তঃসংযোগ সরবরাহ করে থাকে।
Sue- D/B/BJ
You cannot copy content of this page