ভোলা জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা পোনে ১১টায় জাটকা সংরক্ষণের নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮–১০ জনের একটি দল মেঘনার ধনিয়া-কাচিয়া জল সীমানায় অভিযান চালান। এ সময় জাটকা ধরতে মশারি জাল পাতা দেখেন তাঁরা, সেটা মৎস্য ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন। সেই জাল অপসারণ করতে গেলে সকেট জামাল উদ্দিনের ভাগনে মো. শাহিনের নির্দেশে ৪০–৫০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ছয়জন আহত হন। আহতরা হলেন- ভোলা সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মাহামুদুল হাসান, মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম, ইলিশ প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহকারী তানজিল আহমেদ, কোস্টাল প্রকল্পের আবু জাফর ও তাদের ট্রলারের মাঝি মো: জামাল।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, প্রাথমিকভাবে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও হত্যাচেষ্টা মামলার পস্তুতি চলছে। ভোলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাক্তক আঘাতের জখম যন্ত্রনা নিয়ে কাতরাচ্ছেন আহতরা। আহতদের দেখতে আসেন ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।
সকেট জামাল উদ্দিন বলেন, মশারি জালের জেলেরা মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলা চালালে তাঁর ভাগনে ছাড়িয়ে দিয়েছেন। শাহিনের নির্দেশে এ হামলা হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে জামাল উদ্দিন বলেন- তাইলে আমি জানি না। জামাল উদ্দিনের লোকজন এর আগেও দৌলতখান মৎস্য কর্মকর্তার ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ আছে জানতে চাইলে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সকেট জামাল।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাইন পারভেজ বলেন, আহতরা অভিযোগ করলে যথাযথ ও আইনগত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page