রোমানুল ইসলাম সোহেব।।
ভোলার দৌলতখানে হালিমা খাতুন মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো: নুরে আলমের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই কলেজের কর্মচারীরা।
ওই কলেজের ৮ জন কর্মচারী দৌলতখান প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সোমবার বিকেল ৫ টায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত কর্মচারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে অফিস সহায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ নুরে আলম ২০১০ সালে আমাকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়ে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা, মো: ফয়সালকে অফিস সহকারি পদে নিয়োগ দিয়ে ৫ লাখ টাকা, ইসমাইল সওদাগরকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়ে ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা, সাথী বেগমকে ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট পদে নিয়োগ দিয়ে ৬ লাখ টাকা, মো: মিরাজকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মো: হারুনকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিয়ে ৬ লাখ টাকা, আমজাদ হাওলাদারকে নিয়োগ দিয়ে ৩ লাখ টাকা এবং শেফালী বেগমকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন।
চাকরীর আশায় আমরা ৮ জন গরীব কর্মচারী জমি বিক্রি ও ধার দেনা করে অধ্যক্ষ মহোদয়কে ২৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দিয়েছি। আমাদেরকে নিয়োগ দেওয়ার পর আমাদের কাছ থেকে যোগদান পত্রও নিয়েছেন। আমরা উল্লিখিত ৮ জন কর্মচারী গত ১৪ বছর যাবত যথারীতি কাজ করে আসছি। কিন্তু অধ্যক্ষ মহোদয় আজ অবধি আমাদেরকে এমপিওভুক্তির নামে কাল ক্ষেপন করে আসছেন। ভুক্তভোগী কর্মচারীগণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনতিবিলম্বে তাদের এমপিওভুক্তি অথবা তাদের কাছ থেকে অধ্যক্ষের নেওয়া টাকা ফেরত দাবী করেছেন।
এসকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মো: নুরে আলমের নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি এবং তাকে পাওয়া যায়নি।
You cannot copy content of this page