শফিকুল ইসলাম।।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তরের উদ্যোগে ভারতের সাথে দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল এবং দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ও সরকারের সকল মন্ত্রী-এমপিরা দেশের জন্য ক্ষতিকারক। কাজেই এই অবৈধ সরকারকেই ক্ষমতাচ্যুত করে দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার ভারতের স্বার্থে সব কিছু করছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতকে সবকিছু উজার করে দিতে পেরেই আত্মতৃপ্ত ও খুশি। কিন্তু দেশের জন্য কিছু নিয়ে আসতে না পারা যে তার জন্য ব্যর্থতা তা বুঝতে পারছেন না। এই অথর্ব প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য অভিশাপ। এদেরকে এখনই বিদায় করে দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের রেল করিডোরের স্বপ্ন পূরণ করতে দেওয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে এই সিদ্ধান্ত রুখে দেওয়া হবে। তাই চূড়ান্ত আন্দোলনের আগেই সরকারকে রেল করিডোরসহ ১০টি অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। না হয় সারাদেশে দল-মত নির্বিশেষে এ ব্যাপারে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে বিভিন্ন চুক্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রেল করিডোর। এটি দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দেশের জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে চুক্তি করা হয়েছে। তাই এসব চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার (৫ই জুলাই) বাদ জুমা কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তরের উদ্যোগে ভারতের সাথে দেশবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল এবং দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তরের সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী, সহসভাপতি ওবায়েদ বিন মোস্তফা, সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি আবদুল মমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আদনান, ইসলামী যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোনল, শ্রমিক আন্দোলনসহ সহযোগী সংগঠনের জেলা সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, ভারতের রেল বাংলাদেশের ভূ-খন্ডে চলতে দেয়া হবে না। একবার যদি পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের রেল চলতে দেয়া হয় তা’ হলে এ রেল আর বন্ধ হবে না। ফলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌত্ব থাকবে না। ভারতের সাথে আমরা সুস¤পর্ক চাই কিন্ত তা’হতে হবে মর্যাদাপূণ সম্পর্ক। ভারতের স্বার্থে দেশবিরোধী কোনো চুক্তি এদেশের মানুষ মেনে নিবে না। স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশের ওপর দিয়ে ভারতের রেল চলার করিডোর দেয়া যায় না। ভারতকে সন্তুষ্ট রাখতে হলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। প্রধানমন্ত্রীকে এদেশের জনগণ ক্ষমতায় বসায়নি। ক্ষমতায় বসিয়েছে ভারত। যারা ভারতের সাথে বার্গেনিং করে দেশ চালাতে পারবে না। তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের সাথে ১৩টি চুক্তি কথা বলা হেয়ছে। বর্তমান সরকারকে রক্ষায় কাজ করছে পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনী। এজন্য এই দুই বাহিনীকে ভারত ট্রেনিং দিয়ে মগজ ধোলাই করার চুক্তি করা হয়েছে। ভারত আমাদেরকে কী ট্রেনিং দিবে?
তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার জনগণ বর্জিত সরকার। দেশের প্রতি তাদের ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থাকলে ভারতের সাথে অসম চুক্তি করতে পারে না। তিনি বলেন, ১০ টি দেশবিক্রির চুক্তি। প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ইউরোপে বর্ডার নেই, কিন্তু ইউরোপে তো বিনা ভোটে সরকারও নির্বাচিত হয় না, দুর্নিতি হয় না, দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিদেশে পাঠানো হয় না, দিনের ভোট রাতে হয় না। তাহলে আপনি এগলো করছেন কেন? ধান্দাবাজি ছেড়ে দিয়ে দেশ রক্ষায় কাজ করুন, না হলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণকে অভিশাপ থেকে বাচান। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষাখাত, অর্থনৈতিক খাত, ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভোলা শহরের কালিনাথ বাজার হাটখোলা মসজিদ থেকে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল এসে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
You cannot copy content of this page