ওমর ফারুক ||
শৈত্যপ্রবাহের হিম বাতাশে কনকনে শীতে কাঁপছে ভোলার সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। সেই সাথে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রচণ্ড শীতের হঠাৎ তীব্রতায় ছড়িয়ে পড়েছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে।
শনিবার (১৩ই জানুয়ারি) ভোলার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভোলার তাপমাত্রা ১৪° ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে এবং আগামী কয়েকদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। গত দুদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে এ জেলার ওপর দিয়ে। ঘনকুয়াশা আর উত্তরের হিম-শীতল বাতাসে শীতের তীব্রতা ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুপুর ২/৩টা পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের আলো। ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে ভোলার প্রকৃতি সাথে হিম বাতাস। তবুও কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা করে খেটে-খাওয়া মানুষরা ঘর থেকে বের হয়ে কাজে যেতে হচ্ছে জীবন জীবিকার তাগিদে।
এছারাও সন্ধ্যার পর কমে যাচ্ছে যানবাহন, ফাঁকা হচ্ছে শহর, বন্দর, হাটবাজারের রাস্তাঘাট। শীতের তীব্রতায় এখন ঘরমুখো মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রচণ্ড ঠান্ডায় সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, কোল্ড এলার্জি, বাত ব্যথা, স্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভিড় করছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
এদিকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভোলার অদূরবর্তী চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এতিম অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বলসহ বিভিন্ন গরম বস্ত্র বিতরণ করেছে। তবে বিতরন সংখ্যায় সীমিত হওয়ায় শীত বস্রের চাহিদা মিটছে শীতার্তদের।
You cannot copy content of this page