জানা গেছে, বুধবার (৫ই জুন) দুপুরে কাপ পিরিজ প্রতীকের প্রার্থী লায়ন হাসনাইন আহমেদ ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের দিদার মসজিদ এলাকায় প্রচার করতে যান। এ সময় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শালিক প্রতীকের প্রধান সমন্বয়কারী ফকরুল আলম হাওলাদার সেখানে যান।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ফখরুল আলম হাওলাদার মোটরসাইকেল করে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় কাপ পিরিজ প্রতীকের প্রার্থী লায়ন হাসনাইন আহমেদ ফকরুল হাওলাদারের কাছে জানতে চান আপনি আমার লোকজনকে এগুলো কি বলতাছেন। এ সময় ফকরুল আলম হাওলাদার মোটরসাইকেল থেকে নামতে নামতে বলেন ঠিকইতো বলছি বলেই, প্রার্থী লায়ন হাসনাইন আহমেদকে চড় মারেন। এছাড়া প্রার্থীর বড় ভাইকে গলা টিপে ধরতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলার আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম বলেন, আমি পথ দিয়ে যাইতেছিলাম। তখন প্রার্থী হাসনাইন আমাকে দাঁড় করিয়ে আমার সঙ্গে ইভটিজিং করে। তেমন কিছুই হয়নি, হাতাহাতি হয়েছে মাত্র। তিনি আমার দিকে আসছিল তাই তাকে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা স্বাভাবিকভাবে রাজনীতি করি। আচরণবিধি মেনে চলার চেষ্টা করি।
এ বিষয়ে কাপ পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লায়ন হাসনাইন আহমেদ বলেন, ওনাকে আমি সালাম দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি ফজলু ও মুরাদ নামে অপরিচিত দুজনকে এনে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমার ভাই ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদের গলা টিপে ধরেছেন। তারা প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। তিনি যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও লালমোহন ইউএনও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তিনি চরফ্যাশনে নির্বাচনী দায়িত্বে রয়েছেন। বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছেন। দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
লালমোহন থানার ওসি এস এম মাহাবুব উল আলম জানান, তর্কাতর্কি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আ.লীগের সেক্রেটারি ফখরুল আলম তাকে মারধর করার অভিযোগে থানায় মামলা করতে এসেছিলেন, তার মামলা নেওয়া হয়নি। হাসনাতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
You cannot copy content of this page