সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিখোঁজ শিশু’কে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ দৈনিক আমার দেশ’কে ভোলার রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের অভিনন্দন সা’দপন্থীদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা ভোলায় বাবা-ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ কোস্টগার্ডের হাতে আটক ভোলায় ইটভাটা মালিক সমিতির ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন আজ ১০ই ডিসেম্বর’ ভোলা পাক’হানাদার মুক্ত দিবস আজ ১০ ডিসেম্বর, ভোলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস ভোলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে গনঅধিকার পরিষদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার ভোলার ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন জেলা পুলিশ সুপার

ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রুগীরা দালালের খপ্পরে দিশেহারা, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৩৭ বার পঠিত

মোঃ মনছুর আলম ||

ভোলায় দালাল’দের নিয়ন্ত্রণে ভোলা সদর ২৫০ শয্যা বিশিস্ট জেনারেল হাসপাতাল। অনিয়ম ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা শতশত রোগী। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রতিনিয়ত দালালের খপ্পরে পড়ে দিশেহারা হয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দালালদের সাথে জরিত রয়েছেন ভোলা সদর হাসপাতালের কর্তাবাবুরা।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ভোলা সদর হাসপাতালে দালালদের নিয়ন্ত্রণ চলছে এবং এর সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগী কামাল, হোসেন, জসিম, মাইনুল, ফজলে হাদি, নয়ন, রোকেয়া জান্নাত ও পারভীন সহ আরও একাধিক নামের রোগীরা বলেন, হাসপাতালে রোগী ঢোকার সাথে সাথেই রোগীকে কিভাবে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে পাঠাবে টেস্ট করানোর জন্য সেটা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে ঘোরাঘুরি করা দালাল ও হাসপাতালের কর্মচারীরা। প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠালেই কমিশন নির্ধারিত। সেখান থেকে রোগী প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছে ৪০/৫০% কমিশন। এসব দালাল বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পছন্দের জায়গায় রোগীরা শারীরিক মেডিকেল টেস্ট পরীক্ষা না করালে রীতিমত বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীদের।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের একাধিক ডাক্তার জানান, প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক এর মালিক হাসপাতালে চাকরি করলে কিভাবে দালাল নির্মুল করবে এই হাসপাতাল থেকে। এভাবে দালাল নির্মুল করা কোনদিন সম্ভব হবেনা, যতদিন দালালের সাথে জরিত থাকবে এখানকার স্টাফ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা।

ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃমনিরুল ইসলাম জানান, দালালরা যে রোগীদের কাগজ নিয়ে টানাটানি করে ও রোগীদের হয়রানি করে এটা সত্য।  হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে অনেক রোগীরা তার কাছে অভিযোগ করেছেন। কিনতু তিনি সশরীরে গিয়ে কাউকে খুজে পাননি। তিনি বলেন, যদি হাসপাতালের কর্মরত কোন লোক এসব দালালিতে জরিত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মুলে তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের দালাল নির্মুলের অভিযানে তাদের পুলিশ দিয়ে আটক করা হলেও রাজনৈতিক নেতাদের তদবিরে সেসব লোকদের থানা ও জেল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। এসব কারনে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মুল করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান তিনি।

এদিকে ভোলার সচেতন মহলের দাবি দালাল নির্মুল করতে হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কমিশন খাওয়া বন্ধ করতে হবে তা না হলে হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মুল করা কোনদিন সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে ভোলা ডিবির ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, ভোলা সদর হাসপাতালে দালালের অত্যাচারে সাধারণ রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে তাদের কাছে অনেক রোগী সহ রোগীর আত্মীয়-  স্বজনরা অভিযোগ করার পর তারা অভিযান চালিয়ে একাধিকবার এসব দালাল শ্রেণির লোকদের আটক করার পরে কিছুদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুনরায় এরা আবার সক্রিয় হয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ভোলা সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কোন দালাল থাকবে না। কোন রোগী যাতে দালাল দ্বারা প্রতারিত না হয় সে দিকে প্রশাসনের নজরদারী থাকবে এবং এসব দালাল নির্মুলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো বেশী সার্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও আইন প্রয়োগ করা হবে।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

You cannot copy content of this page