ভোলা জার্নাল রিপোর্ট।।
ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চাঁচড়া এলাকায় জমি বিরোধের জের ধরে অসহায় পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ করেছে একই এলাকার প্রভাবশালী সরকার বাড়ি ও বড় বাড়ির মোঃ মাকেন সরকার ও রহিম তালুকদার গংয়ের বিরুদ্ধে।
মংগলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বাড়ির দরজার রাস্তার জমি নিয়ে সামান্য কথার কাটাকাটির সূত্রে এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করেছে মজুমদার বাড়ির ভুক্তভোগীরা। এলাকার সরকার বাড়ি ও বড় বাড়ির মূল হর্তাকর্তা মোঃ মাকেন সরকার ও রহিম তালুকদার গংরা তাদের বাড়ির অন্যতম লাঠিয়াল সাহাবুদ্দিন, মামুন ও মফিজল সরকার কে সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মজুমদার বাড়ির মো: হৃদয়, মাইনুদ্দিন, তামিম ও ফারুকের উপর লাঠি, রড ও শাবাল হাতে হামলা চালায়। হামলায় ৩ জন গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, অত্র চাচড়া এলাকায় সরকার বাড়ি ও বড় বাড়িতে সবচেয়ে বেশি লোকজনের আবাসস্থল। এই দুই বাড়িতে লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় পুরো চাচরা এলাকা এই দুই বাড়ির লোকজনরা অবৈধভাবে তাদের বাহিনীর প্রভাব খাটিয়ে নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করে তারা। তাদের বাড়ির লোকদের নামে এলাকায় হুমকি ও দখলসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
হামলায় আহত- হৃদয়, মাইনুদ্দিন, তামিম ও ফারুক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ির প্রবেশ দরজার রাস্তার জমি নিয়ে মাকেন সরকার ও রহিম তালুকদার গংরা তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল করতে চাইলে আমরা কথার মাধ্যমে তাদের কথার জবাব দেই, এর ফলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর ও বাড়ির মহিলাদের উপর ও হামলা চালিয়েছে। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে তারা এলাকায় অরাজকতা করেছে, মানুষকে বিপদে ফেলেছে। এখন আবারও তারা তাদের বাড়ির বেশী লোকবলের প্রভাব খাটিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে এই এলাকায় আমাদের মতো অসহায় পরিবারকে জুলুম-অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন, কিছুটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে আমরা থানায় অভিযোগের মাধ্যমে আইনের কাছে মোঃ মাকেন সরকার ও রহিম তালুকদার গংয়ের জুলুমের বিচার প্রার্থনা করবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাচড়া এলাকার একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, এই দুই বাড়ির লোকজন টানা ১৭ বছর আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে তরফদারি করে পুরো এলাকার মানুষদের জিম্মি করে অবৈধভাবে জোরপূর্বক নিজেদের ইচ্ছায় পরিচালিত করতো। তবে হাসিনা সরকার পতনের পরে এরা কিছুদিন চুপ থাকলেও, এখন আবার এরা এলাকার অসহায় পরিবারদের উপর আগের মত নিজেদের লোকবলের প্রভাব খাটিয়ে জুলুম ও জবরদখল শুরু করেছে। তারা বলেন, এই দুই বাড়ির লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় এরা এখনো এলাকায় বুক উঁচিয়ে সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করতে ভয় পায়না।
You cannot copy content of this page