আশিকুর রহমান শান্ত||
ভোলায় স্বামীর কোটি টাকা ও ধন সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারনা করা সহ পরকীয়ায় আসক্তের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী, সন্তান, টাকা ও ধনসম্পদ সব হাড়িয়ে প্রবাসী স্বামী এখন সর্বশান্ত। বিচার প্রার্থনায় ঘুরছে মানুষের দ্বারে দ্বারে। স্ত্রী বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওমান প্রবাসী হাবিবুর রহমান।
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হানিফ মোল্লার ছেলে ওমান প্রবাসী হাবিবুর রহমানের সাথে এ ঘটনা ঘটে। পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে ভোলার উত্তর চরনোয়াবাদের আবু সাইদের মেয়ে হালিমা খাতুনকে বিয়ে করে সূখেই দিন কাটছিলো তাদের। বিয়ের প্রায় ৪ বছর পর সংসারকে স্বচ্ছল করতে ধার দেনা করে ২০১২ সালে স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিজ বাড়িতে রেখে ওমান প্রবাসে পাড়ি জমায় হাবিবুর।
স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই হালিমা তার বাবার বাড়িতেই বসবাস করে। ওমানে গিয়ে হাবিবুর গ্রোসারী, সবজির দোকান ও খাবার হোটেল সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে। প্রবাস থেকে প্রতিমাসে চাহিদা অনুযায়ী স্ত্রী ও সন্তানের জন্য ব্যাংক ও বিকাশে টাকা পাঠায়। একমাত্র সন্তানের পড়ালেখার খরচ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা, জমি ক্রয়, বাড়ি তৈরী, দোকান ক্রয় ও একাধিক ডিপিএস করার নামে কোটি টাকা বাগিয়ে নেয় স্ত্রী হালিমা। ওই টাকা দিয়ে শহরে প্লটসহ বিভিন্ন স্থানে জমি, বাড়ি ও দোকান ক্রয় করে। এসব সম্পদ স্বামীর ও সন্তানের নামে না করে বাবা-মা, ভাই ও নিজের নামে করে নেয় হালিমা। এমনকি একাউন্টে পাঠানো সব টাকা অন্য একাউন্টে ট্রান্সফার করে তা আত্মসাৎ করে। পরিকল্পিত ভাবে অর্থ সম্পদ সহ প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে স্বামীকে পথে বসিয়ে দেয় স্ত্রী হালিমা। এদিকে স্বামী দেশে না থাকায় নিয়ন্ত্রণহীন জীবনের পথচলায় জাতীয় পর্যায়ের একটি এনজিওতে ফিল্ড পর্যায়ে চাকুরি বাগিয়ে নেয় সে।
১২ বছরে তিন দফায় দেশে ফিরে স্ত্রীর এমন কর্মকান্ডে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে হাবিবুর। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। নানা অজুহাতে চতুর হালিমা স্বামীর সংসারে আর না ফেরার কথা ছাপ জানিয়ে দেয়। ২৩ সালের জুন মাসে হাবিবুর দেশে আসার খবর পেয়ে স্ত্রী হালিমা স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দিয়ে রাখে।
একদিকে মিথ্যা মামলা, অপরদিকে স্ত্রী, সন্তান, অর্থ ও ধনসম্পদ সব হাড়িয়ে এখন অসহায় জীবনযাপন করছেন হাবিবুর। বিচারের আশায় সর্বশান্ত প্রবাসী হাবিবুর এখন ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।
হাবিবুরের দাদা আমানুল্লাহ মাঝি বলেন, হাবিবুর বিদেশে গিয়ে যত আয় রোজগার করেছে, নিজের পরিবারকে না দিয়ে সবই তার স্ত্রীর নামে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে হাবিবুরের বোন ছালমা আক্তার বলেন, আমার ভাইয়ের স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তি ও টাকা পয়সা তার স্ত্রীকে দিয়েছে। সে সুকৌশলে তার বাবা, মা, ভাই ও নিজের নামে লিখে নিয়ে আমার ভাইকে পথে বসিয়ে দিয়েছে।
এনজিও কর্মী খাদিজা বলেন, হালিমার বস এর সাথে বিভিন্ন সময়ে অবাধে মেলামেশা করতে দেখেছি।
এ বিষয়ে প্রবাসী হাবিবুর রহমান বলেন, সংসারের অভাব ঘোচাতে ১২ বছর ধরে ওমানে অনেক পরিশ্রম করেছি, ভালো আয় করেছি। প্রতিমাসে স্ত্রীকে লাখ লাখ টাকা পাঠিয়েছি। আমার শ্যালককেও ওমানে নিয়ে ব্যবসার কাজ দিয়েছি। কিন্তু আমার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে আমার সকল অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
You cannot copy content of this page