ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোলার লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতার হোসেনের পক্ষ নিয়ে প্রকাশ্যে পথসভায় এমন হুংকার দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা আ. লীগের সহসভাপতি ও সংসদ সদস্য শাওনের চাচাতো ভাই অরুন পঞ্চায়েত। তার এমন বক্তব্য ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রার্থী ও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকরা। ভোলা জেলা আ. লীগের সহসভাপতি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আখতারুজ্জামান টিটব নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এমন হুংকার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে নির্বাচনের মাঠে ক্ষমতার প্রয়োগ ও হুমকি ধামকির একটি ভিডিও ৪ মে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থী আখতারুজ্জামান টিটব বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাদ, নিরপেক্ষ ও অংশ গ্রহন মূলক করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রতি সম্মান দেখিয়ে দলমত নির্বিশেষে এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে প্রার্থীরা। অথচ এমপির চাচাতো ভাই অরুন পঞ্চায়েতের এমন বক্তব্যে লালমোহনে নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করবে। তাই সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগের জেলা সহসভাপতি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে এমপির আত্মীয় স্বজন আ. লীগ সভানেত্রীর নির্দেশনাকে চেলেঞ্জ করেছেন। তিনি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে বিভিন্ন প্রার্থীসহ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রভাবিত করে আমাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে ষড়যন্ত্র করছেন । এবং নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আমি এ নির্বাচনে থাকবো।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অরুন পঞ্চায়েতকে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কায়সার খসরু গণমাধ্যমকে জানান, আমি ভিডিওর বক্তব্যগুলো দেখবো। এ ধরনের বক্তব্য আচরণ বিধি লঙ্ঘন। সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
You cannot copy content of this page