ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় মেঘনা নদীর বেরি বাঁধের ব্লক ধসে লাইজু বেগম (৩৮) নামের এক বাক প্রতিবন্ধী নারী নিহত হয়েছেন। এছারাও এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন।
সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়ে মরিয়ূম (৩) নামের এক শিশু মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত দুই সন্তানের জননী লাইজু বেগম ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুর এলাকার বাসিন্দা মো. সিরাজের স্ত্রী।
এ বিষয়ে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছারাও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ইলিশা – রাজাপুর প্রকল্পের ইলিশার লঞ্চঘাট এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে মেঘনা নদীর বেরি বাঁধের তীর সংরক্ষণ বাঁধের সিসি ব্লক ধসের ঘটনা ঘটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ধসে যাওয়া স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে ধস প্রতিরোধে কাজও করছে। তবে আজ দুপুরের দিকে ইলিশা তালতলি লঞ্চঘাট সংলগ্ন তীরে এসে একটি মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে। পরে সেখান থেকে মাছ নিয়ে মৎস্যঘাটে যাচ্ছিলেন ট্রলারে থাকা জেলে ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। ঐসময় লাইজু বেগম তীরের ব্লকের ওপর দাঁড়িয়ে তাদের কাছে মাছ ভিক্ষা চাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ ব্লক ধসে যায়। এতে ব্লক চাপায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। এছাড়া এ ঘটনায় শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়।
এবিষয়ে স্থানীয় জেলে করিম, রাসেল ও নবী মাঝি বলেন, কয়েক দিন ধরে ইলিশা মেঘনার পাড়ে ব্লক বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে ও এখনো ব্লক ধস হচ্ছে। আমরা খুব আতঙ্কে আছি, আমাদের দেখার আল্লাহ ছারা কেউ নেই।
এ বিষয়ে ভোলা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির জানান, এই ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন। নদীতে কেউ নিখোঁজ আছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি। ডুবুরি, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ করছে এবং পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করছে।
You cannot copy content of this page