আশিকুর রহমান শান্ত, বিশেষ প্রতিনিধি||
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে নিহতের ঘটনার নেপথ্যে থাকা আটককৃত উস্কানিদাতা মহিউদ্দনকে ছেড়ে দেয়াসহ মৃত্যুর ঘটনাকে আড়াল করতে দলীয় প্রভাব আর টাকায় রফাদফা করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ। এই হত্যার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, দৌলতখানে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের রডের আঘাতে কলেজ ছাত্র রাব্বি নিহতের ঘটনায় মাহিদের পিতা মহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে দৌলতখান থানা পুলিশ। আটকের ২৪ ঘন্টা পার হলেও হত্যায় অভিযুক্ত মাহিদকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। উপরন্তু দলীয় প্রভাব আর টাকায় রফাদফায় আটককৃত মহিউদ্দিনকে ছাড়িয়ে নেয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। ওই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা কেউ।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনায় জড়িত প্রকৃত উস্কানিদাতা ও মূল হোতাকে বাদ দিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে থাকা সহযোগীদের মূল আসামী করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ময়না তদন্ত শেষে রাব্বির মরদেহ পরিবার এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দৌলতখানে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় রাব্বি (২২) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২৩শে ফেব্রুয়ার) সকালে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাব্বি দৌলতখান পৌরসভার বাসিন্দা জামাল মাঝির ছেলে। গত বৃহস্পতিবার( ২২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় দৌলতখান পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাব্বির ছোট ভাই রাজীবের সাথে কিশোর গ্যাং এর লিডার মাহিদ ও তার সহযোগীদের পূর্বের দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাব্বির ছোট ভাইকে নিয়ে দৌলতখান পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসে। সেখানে পূর্বে থেকেই কিশোর গ্যাং এর মাহিদ ও তার সহযোগীরা অবস্থান করছিলো। এসময় মাহিদ ও তার সহযোগীরা রাজীবের ওপর হামলা চালায়। এতে বাধা দিলে হামলাকারীরা রাব্বিকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আশংকাজনক অবস্থায় শুক্রবার সকালে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত মাহিদ দৌলতখান বাজারের ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের ছেলে।
You cannot copy content of this page