আশিকুর রহমান শান্ত||
ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ঘর চাপায় ও বজ্রপাতে নিহত ২ জনের পরিবারে চলছে শোক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন লালমোহন উপজেলা প্রশাসন। বেসরকারিভাবেও সহায়তা দেয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে।
খোলা আকাশের নীচে অর্ধশত পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চলছে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও গাছপালা নিরুপনের কাজ। লালামোহনে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ২ জনের মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে বজ্রপাতে হর্টস্টকে নিহত শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম বাচ্চুর পরিবারকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে তজুমদ্দিন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে বজ্রপাতে হর্টস্টকে নিহত শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম বাচ্চু (৩৫) এর কবর জিয়ারত করেছেন লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি নিহত শিক্ষক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। আরও সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই উপজেলার বদরপুরে ঘরচাপায় নিহত হারিছ (৬৫) এর পরিবারকেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। অপরদিকে, নিহত ২ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং আহত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়ার ঘোষনা দিয়াছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরনবী চৌধুরী শাওন।
এদিকে, ঝড়ে সম্পূর্ন বিধ্বস্ত হওয়া ৩শ’ পরিবারের প্রায় অর্ধশত পরিবার খোলা আাকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদের সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে ৮ মেঃ টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। সম্পূর্ন ও অংশিক বিধস্ত ঘরের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ২জন নিহত হয়েছে। তাদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। ঝড়ে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তায় ৮ টন জিআর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আংশিক ৩শ’ পরিবারের সহায়তার জন্য বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে।
You cannot copy content of this page