ভোলা জার্নাল রিপোর্ট।।
শনিবার (১৩ অক্টবার) মধ্যরাত থেকে নদীতে মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ার ১শ’ ৯০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। জেলার সাত উপজেলায় প্রায় দুই লাখ জেলে আগামী ২২ দিন কর্মহীন হয়ে পড়বেন। জেলায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার। কপালে চিন্তার ভাঁজ বাকি ৩০ হাজারের বেশি জেলের। জীবিকার এই সংকট নিয়ে ভোলার জেলেরা পড়েছেন চিন্তায়। বরাবরের মতো নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ঋণের কিস্তি বন্ধ ও অভিযানের প্রথম সপ্তাহে সরকারি খাদ্য সহায়তার দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসূমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ শিকার, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ, পরিবহণ, ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আর এতেই বিগত দিনের ধার-দেনা ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ ও সংসার চালানো নিয়ে ভোলার জেলেদের কপালে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। জানা গেছে, ভোলা জেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিপ্রায় দুই লাখ জেলে থাকলেও সরকারি প্রণোদনা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল এসছে ১ লাখ ৪০ হাজার জেলের জন্য। প্রতি বছর ৩০ হাজার অনিবন্ধিত জেলে থাকেন সরকারি প্রণোদনার বাইরে।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা চডার মাথা, ভেদুরিয়া পাকার মাথা, ভোলার খাল, তুলাতুলি ও দৌলতখান উপজেলার পাতারখাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে ইলিশ শিকারে সরকারের আরোপিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে প্রায় ৮০ ভাগ জেলে ও ট্রলার মালিকরা তাদের মাছ ধরার সরঞ্জামাদি তীরে উঠিয়ে রেখেছেন। বাকি ২০ ভাগ জেলেরাও নদী থেকে তাদের জালের নৌকায় তীরে উঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেয়ার চিত্র দেখা গেছে।
You cannot copy content of this page