মনিরুল ইসলাম ॥
‘দি বেষ্ট ইনিশিয়েটিভ অব ভোলা এসোসিয়েশন’ (বিবা) এর মানবতার দেয়াল এর পক্ষ থেকে টিন ও মুদি বাজার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বোরহানউদ্দিনে আলমগীর ও শাহীন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) বিকালে বোরহানউদ্দিন উপজেলার খেয়াঘাট এলাকার অসহায় শাহীনকে মুদি বাজার ও গঙ্গাপুর ইউনিয়নের জয়া গ্রামের আলমগীরকে ঘর মেরামতের জন্য ঢেউ টিন দেওয়া হয়। বিবার মানবতার দেয়ালের এই সহযোগীতা পেয়ে খুশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম, বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহীন ফকির, বোরহানউদ্দিন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ বাহাউদ্দিন, বিবার প্রধান নির্বাহী পরিচালক প্রভাষক মোঃ মনিরুল ইসলাম সহ প্রমূখ। এছারাও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
সহায়তা প্রদান শেষে ভোলা জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, দি বেষ্ট ইনিশিয়েটিভ অব ভোলা এসোসিয়েশন (বিবা) এর মানবতার দেয়াল সবসময় অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করছে। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিতায় বুধবার বোরহানউদ্দিনের দুটি পরিবারকে টিন ও মুদি মালামাল দেওয়া হয়েছে। এই সহযোগীতার মাধ্যমে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এটি অত্যান্ত প্রশংসনীয় কাজ। সমাজের বিত্তবানরা যদি এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে আর কাউকে কষ্টে জীবন যাপন করতে হবে। তাই সবার উচিৎ অসহায়, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
বিবার মানবতার দেয়ালের পক্ষ থেকে টিন পেয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, আমার ঘরের চালার টিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা আসলে ঘরে পানি পরতো। বিভিন্নজনের কাছে গিয়েও আমরা কোন সহযোগীতা পাইনি। কিন্তু বিবার মানবতার দেয়ালের পক্ষ থেকে আমাকে ঘরের চালা মেরামতের জন্য টিন দিয়েছে। এখন ঘরের চালা ঠিক করে নিবো। এখন আর ঘরে পানি পরবে না। আমি এই টিন পেয়ে অনেক খুশি।
মুদি মাল পেয়ে খুশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে অসহায় শাহিন বলেন, অনেক ধরে আমার ব্যবসা খুব খারাপ যাচ্ছিলো। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলাম। এমন সময় বিবার মানবতার দেয়াল আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাকে ব্যবসা করার জন্য মালামাল দিয়েছে। আমি এখন ব্যবসা করার পুঁিজ পেয়েছি। ব্যবসা করে সুন্দরভাবে সংসার করতে পারবো।
বিবার প্রধান নির্বাহী পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, অসহায় আলমগীর হোসেনের ঘরের চালের টিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ঘরে পানি পারতো। যার কারণে তাদের জীবনযাপনে অনেক কষ্ট হতো। বিষয়টি বিবার নজরে আসলে আলমগীরের ঘরের চালা মেরামত করার জন্য ৩ বান টিন দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, মুদি ব্যবসায়ী শাহিন অসুস্থতা জনিত কারণে তার ব্যবসায় মন্দা চলছিলো। পরিবার পরিজন নিয়ে শাহিনের অভাব অনটনে চলে শাহিনের সংসার। এমন খবর পেয়ে বিবার পক্ষ থেকে শাহিনের মুদির দোকানে বিভিন্ন মালামাল তুলে দেওয়া হয়। শাহিন যাতে ব্যবসার মাধ্যমে সুন্দরভাবে সংসার পরিচালনা করতে পারে সে জন্য তাকে এই মালামাল দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময় আরো কিছু অসহায় ব্যবসায়ীদেরকে মালামাল দিয়ে তাদের ব্যবসা চালানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিবার মানবতার দেওয়ালের পক্ষ থেকে একজন প্রসূতি মাকে নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করা হয়। বিবার এই কার্যক্রম সকলের সহযোগীতার মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
You cannot copy content of this page