বরিশাল থেকে মোহাম্মদ বাপ্পি, ভোলা জার্নাল রিপোর্ট ||
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, তাদের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের কোনো রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। বিএনপিকে মানুষ আর চায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালের পর আবার এখন অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে তারা। আমি ধিক্কার জানাই ওই বিএনপি জামায়াতকে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, ওদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোয়। তাদেরকে কি মানুষ চায়? তাদের আর চায় না বাংলার জনগন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখি আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি তখন বিএনপি জামায়াত তারা করে অগ্নিসন্ত্রাস। ট্রেনের বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যা করার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে মা এবং সন্তানকে পুড়িয়েছে। মা সন্তানকে ছাড়েনি বুকে নিয়ে ধরে রেখেছিল। এরা নির্বাচন চায় না, নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
তরুণদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি তারুণ্যের শক্তিই বাংলাদেশের অগ্রগতি। নতুন ভোটার যারা নতুন ভোটারদের কাছে আমরা আহ্বান, যারা নতুন করে ভোট দিতে আসবেন তারা নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার ভোট ব্যর্থ হোক। কাজে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন। সবাইকে ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আপনাদের কাছে আহ্বান, আপনারা ৭ তারিখে একেবারে সকাল সকাল সবাই ভোট দিতে যাবেন। নৌকা মার্কা এই নৌকা মার্কা হচ্ছে নূহ নবীর নৌকা মহাপ্লাবন থেকে মানুষকে রক্ষা করেছিল। তিনি বলেন, এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকায় ভর্তি আজকে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে, ভোট দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া তাদের সময় বাংলাদেশের উন্নতি হয়নি; বাংলাদেশ পেছনে চলে গেছে। আওয়ামী লীগ আসলে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। আমাদের ছেলে মেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিখবে। তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি হবে তাদের স্মার্ট জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলবো। আমাদের সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্মার্ট সরকার হবে। আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট হবে, কৃষি যান্ত্রিকরণ হবে।আমাদের সমাজ ব্যবস্থা হবে স্মার্ট সমাজ। তার জন্য আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ।
এছারাও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বরিশাল সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অভিনেতা মীর সাব্বির, অভিনেত্রী তারিন জাহান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঝালকাঠি-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ওমর-বীর, বরিশাল সদর আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীম সহ প্রমুখ। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোঃ ইউনুস জনসভা অনুসঠানটি সঞ্চালনা করেন।
Sue- BN/24/BJ
You cannot copy content of this page