ভোলা জার্নাল রিপোর্ট।।
ভোলায় আয়াত নামে (১৫ মাস) বয়সী এক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করে অক্ষত অবস্থায় তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে এদিন সকাল ৭ টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার জয়নাল আবেদীন তালুকদার বাড়ি থেকে শিশুটি নিখোঁজ হন। শিশু আয়াত ওই একই গ্রামের জয়নাল আবেদীন তালুকদার বাড়ির মৌলভী আলী আহমেদ ও বিবি ফাতেমা দম্পতির বড় মেয়ে জাকিয়া ও জামাতা মো.সোহাগ দম্পতির একমাত্র কন্যা সন্তান।
পুলিশ ও অপহরণের স্বীকার শিশু আয়াতের স্বজনরা জানান, গত ২২ দিন আগে বাবার বাড়িতে একমাত্র কন্যা শিশু আয়াতকে সাথে নিয়ে বেড়াতে আসেন শিশুটির মা জাকিয়া। রবিবার সকাল ৭টার দিকে আয়াতকে তার মা জাকিয়া দুগ্ধপান করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে বাহিরে যান। এসময় শিশুটির নানি ফাতেমা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তারা আরও জানান, শিশুটির মা কিছুক্ষণ পরে ঘরে এসে দেখেন ঘুমন্ত শিশু আয়াত ঘরে নেই। এরপর তারা বাড়ির আশেপাশে ও বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে শুরু করেন এবং শিশুটির সংবাদ পেতে মাইকিংও করেন। কোথাও শিশু আয়াতের খোঁজ পাননি তার পরিবার। পরে এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের অফিসার পাড়া এলাকায় বোরকা পড়া অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর সাথে শিশুটিকে দেখেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে অজ্ঞাত সেই নারী শিশুটিকে ওই এলাকায় একা রেখে পালিয়ে যান। শিশুটিকে একা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ কল দিলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু আয়াতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে বিষয়টি জানানো হলে শিশু আয়াতের পরিবার খোঁজ পান।
এ বিষয়ে শিশু আয়াতের মা জাকিয়া জানান, সকালে আমার মেয়েকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে বাহিরে গিয়েছি, ফিরে এসে দেখি আমার মেয়ে ঘরে নাই। পরে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারি আমার মেয়ে পুলিশের হেফাজতে আছে। পরে পুলিশ আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু শাহাদাত মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, জেলা শহরের অফিসার পাড়া এলাকায় কোনো এক অজ্ঞাত বোরকা পড়া মহিলা একটি শিশুকে রেখে গেছে। এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে চারিদিকে খোঁজখবর নিয়ে বাচ্চার অবিভাবকের খোঁজ পেয়ে তাদের থানায় এনে যাছাই-বাছাই করে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। কে বা কারা বাচ্চাটিকে এখানে নিয়ে এসেছে এবং এ ঘটনার সাথে কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
You cannot copy content of this page