স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী কর্মীবান্ধব জনবান্ধব ও স্থানের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের প্রিয় আস্থাভাজন সকলের পরিচিত মুখ হাস্যজ্জল ইউনুস এর প্রতিটি উঠোন বৈঠক যেনো এক একটি জনসমুদ্র। নির্বাচনকে কিরে ফুরফুরা অবস্থানে রয়েছেন ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস। যেখানেই তার পদধূলি সেখানেই যেনো জন সমুদ্র।
কেননা বিগত দিনে মানুষ উপজেলাতে গিয়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের উপস্থিতি না পেলেও বাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুসকেই সর্বক্ষণ জনগণ কাছে পেয়েছে। থানা পুলিশ হতে আরম্ভ করে সকল আইনগত সহায়তার জন্য সর্বক্ষণিক জনগণের জন্য ছিলেন তিনি নিবেদিত প্রাণ। দিন কিংবা রাত্রি প্রতিটি মুহূর্তই তিনি সাধারণ মানুষকে সময় দিয়ে গেছেন। এগিয়ে এসেছেন মানুষের সুখে দুখে। তাই আজ মানুষ তার নির্বাচনী প্রচারণের সকল ব্যস্ততা ফেলে রেখেও তার উঠান বৈঠকগুলোতে এসে জন সমুদ্রে পরিণত করছে।
এবার উপজেলা নির্বাচনে হবে উৎসবমুখর পরিবেশে। তিনি এ জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়, গ্রামে, হাটবাজারে গিয়ে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি করে যাচ্ছেন এক একটি উঠান বৈঠক। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়ে আগামী ২১ মে সবার কাছে চেয়ারম্যান পদে ভোট দিতে অনুরোধ জানান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস ।
বরাবরের মতো এবারও তিনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে বলেন, গত ১০ বছর উপজেলা বাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আমি আপনাদের ভালোবাসা দিয়ে উপজেলার সব মানুষের ভালো কাজে সর্বদা পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। রাত-বিরাত সব সময় আপনারা আমাকে কাছে পেয়েছেন। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি আপনাদের কথা শোনার এবং সমাধান করার। তিনি আরো বলেন, আমি ভোলা সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুল ও মাদ্রাসার সভাপতি দায়িত্ব পালন করছি। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো কোন একটি প্রতিষ্ঠান থেকেও আমি কোন কিছুর বিনিময় আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করিনি। আমি যা করেছি আপনাদের জন্যই করেছি। যোগ্যতার ভিত্তিতে বিনা পয়সায় আপনাদের সন্তানদের চাকরির ব্যবস্থা করেছি। আমাকে এইসব কাজের জন্য কেউ এক কাপ চাও খাওয়াতে পারেনি। আমি সেই ইউনূস আজ আপনাদের কাছে দাবি নিয়ে এসেছি। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি । আমি কথা দিচ্ছি এবার বিজয় হলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করব। পাশাপাশি ভোলার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার কাজ করবো। আগামী ২১ মে ২০২৪ তারিখে চেয়ারম্যান পদে একটি ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে আপনাদের পাশে থেকে পুনরায় আপনাদের সেবা করার জন্য আমাকে একটু সুযোগ করে দিন, এটাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ।
পারিবারিক পরিচয়ঃ
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন এর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের আবেদা-জালাল দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে ১৯৬৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে জন্ম গ্রহণ করেন মোহাম্মদ ইউনুছ। তারা চার ভাই, একজন হলেন মরহুম ইব্রাহিম মিয়া, যিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন আজ থেকে ১৯ বছর পূর্বে। তিনি ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পরপর পাঁচবার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। আর-ও একজন যিনি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ভোলা জেলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন, (তৎকালীন ভোলা মহকুমার) ঢাকাস্থ ভোলা সদর উপজেলা সমিতির সভাপতি এবং ভোলা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া। একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার-ও রয়েছে বহু যশ-খ্যাতি, তবে আজ তার কথা বলছি না। শিবপুরের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে ইব্রাহিম চেয়ারম্যান পরিবারের সম্পর্ক। সে পরিবারের অন্যতম হলেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ। আজ তুলে ধরবো এই জনপ্রিয় মানুষটার মহত্ত্বের গল্প।
জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউনুছঃ
তার মেধা, মননশীল চিন্তা, পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য যেমনিভাবে স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন;তেমনিভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সর্বোপুরি নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে বর্তমান নিয়ে টানা তিনবারের ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত সফল ভাইস চেয়ারম্যান, ও বরিশাল বিভাগীয় ভাইস চেয়ারম্যানদের অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান সহ অবকাঠামো নির্মাণকাজের ভিত উন্নয়ন করেছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে দলের ভাবমূর্তি হয়েছে উজ্জ্বল। ভোলা সদর উপজেলার আলোকিত এবং সর্বমহলে প্রশংসিত মুখ হিসেবে পরিচিত তিনি।
তারুণ্যের আস্থার প্রতীক এ মানুষটি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয় বরং তার দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি অনেক প্রবীণ এবং প্রাজ্ঞ। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। এসকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সে সব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য খুঁজে পায় নতুন প্রেরণা।
রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনঃ
রাজনৈতিক পরিবারেই তার জন্ম, তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালে ভোলা সরকারি স্কুল অধ্যয়নকালীন সময়ে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এরপর ১৯৮৭ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, যথাক্রমে ১৯৮৯ সালে ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের (মাইনউদ্দিন হাসান চেšধরী-ইকবালুর রহিম) সদস্য, একই সাথে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক, ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (শামিম-পান্নার) কমিটির সদস্য এবং ২০০৩ সালে ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক, (২০০৩-২০১৯) সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের টানা তৃতীয়বার নির্বাহি কমিটির সদস্য, (২০০৫-২০১৯) সাল পর্যান্ত জেলা আওয়ামী লীগের দুই বারের সফল সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সামাজিক কার্যক্রমঃ
জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভোলার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সামাজিক সংগঠন এর গুরু দায়িত্ব পালন করছেন, তারমধ্যে অন্যতম ভোলা প্রতিবন্ধী স্কুল এর (বিসিএস) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম ও জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) জেলা সহ-সভাপতি, রেড ক্রিসেন্ট ভোলা শাখার আজীবন সদস্য, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে তার মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন “আবেদা-জালাল-ইব্রাহীম চেয়ারম্যান ফাউন্ডেশন” এছাড়াও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন একনিষ্ঠতার সাথে। এ মানুষটি নিজের সততা ও দায়িত্ব পরায়ণতার কারণে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা ভাবে প্রশংসিতও হয়েছেন এবং পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম দাতা পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল, ধর্মভীরু এবং সাদা মনের মানুষ। একজন ধর্মাশ্রয়ী মানুষ যিনি শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়মিত সালাত আদায় করেন। তাঁর মাঝে নেই কোনো অহংকার কিংবা আত্মগৌরবের বহিঃপ্রকাশ। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয় ব্যাক্তি। হাতেগণা কয়েকজন নেতার মধ্যে তার কাছে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পায় সাধারণ মানুষ। তিনিও শত ব্যস্ততার মধ্যে মানুষের কথা শোনেন এবং সান্ত¡না দেন।
তবে শুধু যে তার প্রসংশা রয়েছে তা কিন্তু নয়; রয়েছে সমালোচনাও। সমালোচনার জবাবে আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, সমালোচনা থাকবেই সমালোচকরা মূলত আমার দুটি বিচ্যুতিগুলো ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পথের সন্ধান দেয়। সমালোচনাকে আমি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে নিজেকে সাধারন মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে উৎসর্গ করে দিয়েছি। আমি তাদের ভাগ্য উন্নয়নে সবসময় তাদের পাশে থাকতে চাই। এসময় তিনি আবেগ জরিত কন্ঠে বলেন, মহান করুনাময় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভোলার অভিভাবক বাংলার জীবন্তকিংবদন্তী ৬৯ এর মহানায়ক আমার প্রিয় নেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয় ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় আজ আমি এই জায়গায়। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মইনুল হোসেন বিপ্লব এবং ভোলা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে জনগনের মাঝে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুুত রয়েছি ইনশা’আল্লাহ।
You cannot copy content of this page