স্টাফ রিপোর্টারঃ
অবশেষে পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেলো ভোলার চরফ্যাসনে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটককৃত আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. নাছির ও তার সহযোগী আইমান জোবায়ের। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে চরফ্যাশন থানা পুলিশের কাছে মুচলেকার মাধ্যমে মুক্তি পান তারা।
এর আগে উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় কেওড়া বনে কথিত এক নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আটককৃত নাছির আসলামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। অপরজন তার সহযোগী বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী সম্প্রতি ঢাকায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক মাস জেল খেটে বের হওয়া যুবক চরফ্যাশন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্ধা আইমান জোবায়ের।
স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য নাছিরের ঘনিষ্টবন্ধু আইমান জোবায়ের বেতুয়া লঞ্চ যোগে ঢাকা থেকে এক নারীকে বেতুয়া নিয়ে আসেন। দুপুরে ইউপি সদস্য নাছির ও আইমান ওই নারীকে নিয়ে লঞ্চঘাট সংলগ্ন কেওড়া বনের নির্জন জায়গার দিকে রওনা হন। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের পিছু নিয়ে ওই ওই স্থানে ওত পেতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয়রা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় ওই স্থান থেকে আটক করে।
এরপর সেখান থেকে জনৈক ব্যাক্তি ঘটনাটি জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানালে চরফ্যাসন থানার এসআই বাসুদেব ও এ এস আই বেল্লালসহ সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে নারীসহ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মেলেটারী। তিনি জানান, পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসলে আমি সেখানে যাই। এরপর নারী গঠিত বিষয় শুনতেই আমি আমার ভাবমূর্তির কথা বিবেচনা করে তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সেখান থেকে আমি চলে আসি।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নাসির এর সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে উল্টো এর প্রতিবেদককে গালমন্দ করে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও তিনি আর সারা দেননি।
তবে ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে চরফ্যাসন থানার এএসআই বেল্লাল জানান, স্থানীয়দের সংবাদে নারীসহ ইউপি সদস্য নাছির ও আইমান নামের একজনকে থানায় এনে আসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুরে আলম মাষ্টার ও ইউপি সদস্য মো. আরিফ এবং ব্যবসায়ী আব্বাস উদ্দিনের জিম্মায় তাদেরকে মুচলেকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে।
যদিও সাধারণ মানুষের কাছে ইউপি সদস্য নাসির সম্পর্কে কোন ধরনের পজিটিভ ধারণা নেই বলে জানিয়ে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মেয়ে নিয়ে অনেকেই অনেক জায়গায় ঘুরতে যায়, আজকের বিষয়টি ছিলো তারই একটি অংশ বিশেষ। স্থানীয়ভাবে দ্বন্দ্বের জেরে নাসির সহ তার সহযোগী কথা বলতে গেলে স্থানীয়রা তাদেরকে ধরে আটকে রাখে। পরে আমাদের পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর মুচলেকা নিয়ে থানা থেকে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
You cannot copy content of this page