আশিকুর রহমান শান্ত।।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ভোলা জেলা প্রশাসনের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের বর্তমান অবস্থান ও দূর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হল রুমে এই জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরী সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগের পরবর্তী সময়ের উদ্ধার কার্যক্রম সহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত সরকারের সকল ডিপার্টমেন্টের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক কে অবহিত করেন। জেলা প্রশাসন, সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট, ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কোস্টগার্ড, ফায়ার ডিফেন্স, আনসার, রোভার স্কাউট, প্রাথমিক শিক্ষা, মৎস্য বিভাগ, এনজিও, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক সূত্র জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় জেলা জুড়ে ৮৬৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, দৌলতখান উপজেলায় ১১২টি আশ্রয় কেন্দ্র, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১২২টি আশ্রয় কেন্দ্র, তজুমুদ্দিন উপজেলায় ৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র, লালমোহন উপজেলায় ১৯৮টি আশ্রয় কেন্দ্র, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৬৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র, মনপুরা উপজেলায় ৫৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র সার্বিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জেলার সাতটি উপজেলায় ৬৯৩টি ইউনিটে মোট ১৩৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৮৭টি ইউনিটের ১৭৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক, দৌলতখান উপজেলায় ৯১টি ইউনিটে ১৮২০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৭৩ টি ইউনিটি ১৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৮১টি ইউনিটে ১৬২০ স্বেচ্ছাসেবক, লালমোহন উপজেলায় ১৩৭টি ইউনিটে ২৭৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৬৫টি ইউনিটে ৩৩০০ স্বেচ্ছাসেবক, মনপুরা উপজেলায় ৫৯টি ইউনিটে ১১৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক কে সর্বাত্মক প্রস্তুত রাখা হয়েছে পরে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও আশ্রকেন্দ্রে আশ্রয় নিতে আসা মানুষের জন্য শুকনো খাবার, জ্বালানী ও জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা রেখে বেশ কয়েকটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
You cannot copy content of this page