এইচ এম নাহিদ ॥
ঘুর্ণিঝড় রিমালে’র আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ভোলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব বলছে, বেড়িবাঁধের ১০ কিলোমিটার এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানি এলেই প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। এতে চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে তারা দ্রুত ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করেছেন।
জানা গেছে, দ্বীপজেলা ভোলাকে অস্বাভাবিক জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৯ সালে জেলা জুড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে জেলার ৩৭০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০০মিটার বাঁধ সস্মূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত করলে বালো হয়। আর বাঁধ আরও উঁচু করে নির্মাণ করতে হবে। এই ভাঙ্গাগড়ার মাঝে পড়ে আমাদের জীবনযাত্রা থেমে আছে। আয়-রোজগার বন্ধ আছে একরকম। উপকূলবাসীকে জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে স্থায়ী সিসি বাঁধ দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবী।
ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান বলেন, যে অংশ ঝুঁকিপূর্ণ সে অংশ মেরামতের জন্য আমরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। যেসব জায়গা ভেঙে গেছে সেগুলো দ্রুত বন্ধ করার ব্যবস্তা করা হয়েছে। যাতে জোয়ারের সময় পানি না ঢোকে।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, বেড়িবাঁধ যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি ওয়াকিবহাল রয়েছে। আমরা আশা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো দ্রুতই সংস্কার হয়ে যাবে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে, ঝড়ের আঘাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে পাঁচটি স্থানের ৪৫ মিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মনপুরার ১২টি স্থানে ১৬৫ মিটার বাঁধ নদীতে বিলিন হয়েছে বলে জানা যায়।
You cannot copy content of this page