সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিখোঁজ শিশু’কে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ দৈনিক আমার দেশ’কে ভোলার রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের অভিনন্দন সা’দপন্থীদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবিতে ভোলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা ভোলায় বাবা-ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ কোস্টগার্ডের হাতে আটক ভোলায় ইটভাটা মালিক সমিতির ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন আজ ১০ই ডিসেম্বর’ ভোলা পাক’হানাদার মুক্ত দিবস আজ ১০ ডিসেম্বর, ভোলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস ভোলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে গনঅধিকার পরিষদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার ভোলার ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন জেলা পুলিশ সুপার

আজ ১০ই ডিসেম্বর’ ভোলা মুক্ত দিবস

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১২৬ বার পঠিত

ভোলা জার্নাল রিপোর্ট||

আজ ১০ ডিসেম্বর, ভোলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে ভোলা থেকে লঞ্চযোগে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বহিনী। বর্বর হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় দ্বীপ জেলা ভোলা।
ওইদিন সকাল থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার খবরে হাজার-হাজার জনতা নেমে আসে রাজপথে। বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেন সবাই।

সেইসময়ে পাকিস্তানি হানাদাররা ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় ক্যাম্প বসায়। এখানেই মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হতো। পাশেই গণকবর দেয়া হতো। যা আজকের ওয়াবদা বধ্যভূমি। এছাড়া সদরের খেয়াঘাট এলাকাতেও মানুষ হত্যা করে তেতুলিয়া নদীতে ভাসিয়ে দিতো তারা। আর ভোলা সরকারি স্কুল মাঠ, টাউন স্কুল মাঠ, আলীয়া মাদ্রাসার সামনের এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নিতো। টনির হাট, দেউলা তালুকদার বাড়ি, বোরহানউদ্দিন বাজার, গুপ্তের বাজার ও গরুর চোখা এলাকায় হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ তাহের বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভোলা ছিলো ৯ নং সেক্টরের মেজর জলিলের আন্ডারে। মুক্তিযোদ্ধারা দৌলতখান ও চরফ্যাশন থানায় আক্রমণ করে অস্ত্র সংগ্রহ করে। তা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেয়। ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর আসতে শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত হয়। সেদিনের স্মৃতি কখোনো ভোলবার নয় বলে জানান তিনি।

১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শহরের ভোলার খালে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের লঞ্চের গতিরোধ করার চেষ্টা করে মুক্তিকামী জনতা। এসময় তারা গুলিবর্ষণ করতে-করতে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় কার্গো লঞ্চটি ডুবে গেলে পাকিস্তানি হানাদেরদের সব সদস্য নিহত হয়।

বীরমুক্তিযোদ্ধা এম হাবিবুর রহমান জানান, ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে (ওয়াপদা) পাক বাহিনীর অবস্থান ছিলো। ১০ ডিসেম্বর রাতে ওয়াপদা ঘেরাও এর পরিকল্পনা নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু তারা পরাজয় জেনে আগেই সটকে পরে সেখান থেকে। পরে তাদের পালিয়ে যাবার সময় ভোলার খালে আমরা প্রতিহতের চেষ্টা করি।

যথাযথ মর্যাদায় ভোলা মুক্ত দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

You cannot copy content of this page